,

চৌধুরী বাজারে সড়ক বন্ধ করে অবৈধভাবে চলছে মিশুক :: বাড়ছে যানজট, ঘটছে দূর্ঘটনা

জুয়েল চৌধুরী : হবিগঞ্জ শহরে পৌরসভা থেকে পার্কিং অনুমতি নিয়ে বৈধভাবে চলছে মাত্র ১২শ’ টমটম। কিন্তু অবৈধভাবে চলছে অন্তত ৫ হাজার। ছোট এ শহরে অবৈধ টমটমের কারণে প্রতিনিয়ত অসহনীয় যানজট তৈরি হচ্ছে। শহরে প্রচুর অবৈধ টমটমের জন্য যানজট সৃষ্টি হয়। এগুলোর জন্যই মানুষের ভোগান্তি হয়। এই ভোগান্তির মাঝে মরার ওপর খারার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে মিশুক। টমটমের ছোট ভাই খ্যাত মিশুকগুলো চলছে বানিয়াচং-নবীগঞ্জ সড়কে। কিন্তু সেগুলো চালানো হচ্ছে পুরাতন খোয়াই ব্রিজ এলাকা থেকে। একে তো ওই এলাকা থেকে চলাচলের জন্য রয়েছে টমটম স্ট্যান্ড। যেগুলো শহর ছাড়াও বানিয়াচং ও নবীগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে থাকে। বর্তমানে মাসখানেক ধরে দেখা গেছে, টমটমের পাশাাপাশি ওই সব রোডে চলছে মিশুক। তিন চাকার এই যানবাহন চলাচলের জন্য নির্ধারিত কোনো স্ট্যান্ড না থাকায় সেগুলো চৌধুরী বাজারের পয়েন্ট এর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে খোয়াই ব্রিজ পর্যন্ত দাড় করিয়ে রাখা হয়। ফলে একদিকে টমটম, অটোরিকশা তার ওপর আবার মিশুকের এলোপাতাড়ি লাইন বাড়াচ্ছে যানজট। সচেতন মহলের অভিমত টমটম আর অটোরিকশার কারণে এমনিতেই চৌধুরী বাজারে চলাচল ব্যহত হচ্ছে। তার উপর আবার অবৈধভাবে এখানে মিশুকগুলো দাড় করিয়ে রাখায় জনভোগান্তি আর বাড়িয়ে তুলছে। এ বিষয়ে যেনো কারও মাথা ব্যথা নেই। এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী যাত্রীদের মন্তব্য এতো মিশুক আসে কোথায় থেকে? যেখানে সরকার ব্যটারি চালিত তিন চাকার যানবাহন নিষিদ্ধ করেছে সেখানে টমটমের পাশাপাশি মিশুকগুলো চলছে কি করে? কিংবা কারা চালাচ্ছে? এ প্রশ্ন এখন সর্বত্র।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, শহরের প্রতিটি রাস্তাই দখল করে নিয়েছে টমটম আর অটোরিকশা। তার উপর নতুন করে যুক্ত হয়েছে মিশুক। অবস্থা এমন, যেন এটি এসব যানবাহনেরই শহর। টমটম ছাড়াও মিশুক এখন এলাকাবাসীর ‘মাথাব্যথার’ বড় কারণ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রধান সড়কের দুই পাশে মাত্রাতিরিক্ত টমটম চলাচলের কারণে যানজট লেগে আছে সারাক্ষণ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের চৌধুরী বাজার থেকে শায়েস্তানগর পর্যন্ত রয়েছে তিন কিলোমিটার সড়ক এবং বেক রোডে রয়েছে আরও প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক। এই দূরত্বের সড়কের মধ্যে সারাক্ষণ কয়েক হাজার টমটম ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের কারণে শহরে যানজট নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি হয়ে দাড়িয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর